মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হয়ে ওঠে চক্রটি। তারা ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিজ্ঞাপন দেয়। নিশ্চয়তা দেয়া হয় শতভাগ প্রশ্ন কমন পাওয়ার। কিছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক টাকার বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র কিনে নেন। যদিও তাদের দেয়া প্রশ্নপত্র পুরোটাই ভুয়া।
এ প্রতারক চক্রের গ্রেফতার পাঁচ জনের মধ্যে আবদুল আহাদ অনলাইনে রাফিন খান নামে পরিচিত। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে তিনি প্রশ্নফাঁসের বিজ্ঞাপন দিতেন। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়া প্রশ্নপত্র দিতেন।
আরও পড়ুন: মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত চিকিৎসকসহ গ্রেফতার ১২
নকল প্রশ্নপত্রের ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে ডিবি পুলিশ অনলাইন জুয়ার সাইট সম্পর্কে পেয়েছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কীভাবে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ভার্চুয়াল মুদ্রা অর্থ্যাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে, পাওয়া গেছে সে তথ্যও।
প্রতারণা ঢাকা: অনলাইন জুয়ার সাইটে ভার্চুয়াল মুদ্রায় বিনিয়োগ করা হয় এভাবে! (সংগৃহীত ছবি)
গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে সাব্বির ও স্বাগতম চন্দ্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। তারা একজন অনলাইন জুয়ার সাইট ওয়ান এক্স বেটের মাস্টার এজেন্ট; আরেকজন সাব-এজেন্ট। নকল প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া টাকা আবদুল আহাদ পাঠিয়ে দিতেন এ দুজনের কাছে। সেই টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি করে তারা আবার ডিপোজিট করে দিতেন আহাদ ওরফে রাফিনের জুয়ার সাইটের অ্যাকাউন্টে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলছেন, এভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন তারা। জুয়ার সাইটের এজেন্টদের অনেকের বিষয়েও তথ্য পেয়েছেন।
Leave a Reply