আগের দুই শর্ত অনুযায়ী আবারও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। আইন মন্ত্রণালয়ের এ সুপারিশ এরইমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার রাজনীতির বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, তার রাজনীতি করার বিষয়টি অবান্তর। তিনি অসুস্থ, তাই চিকিৎসা নিতে পারবেন এটাই বিষয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে আগের যে দুই শর্ত ছিল সেই শর্তসাপেক্ষে আবারও জামিনের মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। সেই শর্তগুলো আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, তা হলো- তিনি ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। নিজ বাসা থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন তার মানে এই নয় যে, তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না; তা নয়। তিনি হাসপাতালেও যেতে পারবেন। আর এই সময় তিনি দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ দুই শর্তসাপেক্ষে তার যে দণ্ডাদেশে স্থগিতাদেশ ছিল, সেটা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।’
‘আমরা কি স্থগিত বলব, নাকি আইন মন্ত্রণালয় মত দিয়েছে বলব’- সাংবাদিকরা এরকম প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মতামত দিয়েছি এবং কথা হচ্ছে যে, এই মতামতের ভিত্তিতেই গত কয়েকবার এটাকে কার্যকর করা হয়েছে। আমি আশা করি, এই মতামতের ভিত্তিতেই এবারও সেটা কার্যকর করা হবে।’
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ (ষষ্ঠ দফা) ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে তার মুক্তির মেয়াদকাল।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার।
পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবরণের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া প্রায় চার বছর ধরে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। ৭৭ বছর বয়সি সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।
Leave a Reply