1. admin@khoj24bd.com : admin :
  2. genuinebd.71@gmail.com : admin admin : admin admin
  3. tishibly@gmail.com : gungun gungun : gungun gungun
  4. somankhan92@gmail.com : golam mohiuddin : golam mohiuddin
  5. sakilsangdik@gmail.com : Sakil Faruki : Sakil Faruki
আজকের কূটনীতি রাজনৈতিক কূটনীতি নয়, এটি হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি:প্রধানমন্ত্রী - https://khoj24bd.com
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন

আজকের কূটনীতি রাজনৈতিক কূটনীতি নয়, এটি হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি:প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১২ Time View

দৈনিক শিক্ষা নিউজ প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় শিল্পকে আরও কার্যকর করতে দেশীয় বাজার সম্প্রসারণ এবং জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, আজকের কূটনীতি রাজনৈতিক কূটনীতি নয়, এটি হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি।

বিদেশে আমাদের সকল দূতাবাসকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি, এখনকার কূটনীতি এটা রাজনৈতিক কূটনীতি না, এটা হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি। অর্থাৎ প্রত্যেকটি দূতাবাস ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি কি আমরা রপ্তানি করতে পারি বা কোথা থেকে আমরা বিনিয়োগ আনতে পারি সেই দিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে ব্যবসায়ীদের এ সংক্রান্ত ক্রয় বা উৎপাদন খরচ দিতে আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ আর গ্যাস যদি একেবারে নিরবচ্ছিন্ন চান তবে এগুলো কিনতে বা উৎপাদন করতে যে খরচ হবে সেই মূল্য দিতে হবে। কত আর ভর্তুকি দেওয়া যাবে? ভর্তুকি তো জনগণের পয়সায় এত বেশি দেওয়া যায় না। কাজেই ব্যবসায়ী ও শিল্পপতির এ বিষয়ে অন্তত একটু নজর দিতে হবে। এ সময় গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবহারে দেশবাসীকে সাশ্রয় হতে পুনর্বার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী ২৭ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ-২০২৩) উদ্বোধনকালে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। বাবা-মা-পরিবার হারিয়ে এদেশে দুর্নীতি করতে ফিরে আসিনি। সব হারিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে এসেছি। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমাদের সরকারের একটি নীতিমালা ছিল ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণ করা, সেটাই করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণে যা যা করার তা করে যাচ্ছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। দেশের রপ্তানি কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি স্মারক গ্রন্থ ‘আমি তোমাদেরই লোক’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী পরে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। এবারের মেলায় সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া এবং ভারতসহ ১০টি দেশের প্রায় ১৭টি স্থানীয় সংস্থা সংস্থাগুলোর পাশাপাশি অংশ নিচ্ছে।

দেশীয় বাজার সম্প্রসারণ ও জনগণের ক্ষয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা রপ্তানিও যেমন করব, তেমনি নিজের দেশের বাজারও যাতে সৃষ্টি হয় এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে সেদিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। তাহলেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলো আরও কার্যকর হবে এবং উৎপাদন বাড়াতে পারবে। তিনি বিভিন্ন দেশে যখন গেছেন সেখানকার রাষ্ট্রদূতদের ডেকে এই বিষয়ে ব্রিফ করেছেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও একটি উদ্যোগ রয়েছে যেখানে যে পণ্যের চাহিদা বেশি সেই পণ্যটা আমাদের দেশে আমরা উৎপাদন করে রপ্তানি করব-এভাবেই বাণিজ্য আমরা বৃদ্ধি করব।

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা প্রাপ্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাটা কার্যকর করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন কমিটি করে কোন খাতে আমাদের কি কি করণীয় সেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে করে আমরা এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমরা দুই বছর সময় নিয়েছি এই কোভিডের কারণে, ২০২৬ এর মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ কার্যকর করব, যেটা ২০২৪ এ করার কথা ছিল।

সরকারপ্রধান বলেন, কোভিড মোকাবিলা করে আমরা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম, এরপরই এলো যুদ্ধ। সেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে আজকে সমগ্র বিশ^জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। নিজেদের মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা করছে। আমরা কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সেই পর্যায়ে যাইনি। আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।

রপ্তানি বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন বাজার খোঁজার পাশাপাশি দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পণ্য বহুমুখীকরণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের দিকে মনোযোগী হতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্য খুব সীমিত। কিছু পণ্যের ওপর আমরা খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। এটা বহুমুখী করার কথা। আমি বারবার এ কথা বলে যাচ্ছি। বহুমুখী করা এবং আমরা যত বেশি বাজার পাব তত বেশি আমরা পণ্য রপ্তানি করতে পারব। আর আমাদের দেশের মানুষের কর্ম ক্ষমতা যাতে বাড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর বাইরে কল-কারখানা না করার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, যারা ইন্ডাস্ট্রি করবেন অর্থনৈতিক অঞ্চলে করতে হবে। তার বাইরে করলে কোনো ধরনের সেবা পাবেন না। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। এর মধ্যে অনেকগুলোর কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমরা ৫-জি সেবা চালু করব। এটা সব জায়গায় দরকার নেই, এটা অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য বা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রযোজ্য। সেভাবে আমরা পরিকল্পনা নিচ্ছি।অনুষ্ঠানে পাট ও পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেবা খাত বিশেষ করে আইটি ও আইটি এনাবল সার্ভিসের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, গত অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি আয় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাওয়ায় এখন লোডশেডিং কমে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টানা তিন মেয়াদে প্রবৃদ্ধি তার সরকার আট ভাগে তুলে আনতে সক্ষম হলেও কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে আমাদের প্রবৃদ্ধিও কিছুটা কম হয়, তবে ধারবাহিকভাবে ৬ ভাগের ওপরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি ৭ ভাগ পর্যন্তও তুলতে পেরেছি। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। পাশাপাশি জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার সরকার ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে ঘর করে দিচ্ছে এবং তাদের জীবন-জীবিকারও ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে ’৭৫-এর বিয়োগান্তক অধ্যায়ের দীর্ঘ ২১ বছর পরে ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকারে আসার সুযোগ পায় এবং তার দলের যে অর্থনৈতিক নীতিমালা সেখানে বিরাট একটা পরিবর্তন নিয়ে আসে। যার মাধ্যমে বেসরকারি খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেয়। তিনি বলেন, আজকে আপনারা যা যা দেখেন- এত টেলিভিশন, বিমান, হেলিকপ্টার সার্ভিস, ইন্ডাস্ট্রি, ব্যাংক, বীমা, সকলের হাতে মোবাইল ফোন এতকিছু সম্ভব হয়েছে আমাদের সেই বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেয়ার নীতিমালা নিয়ে এগিয়ে যাবার কারণে। এমনকি বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় বার সরকারে আসার সময় তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার। আজকে দেশ ডিজিটাল হয়েছে এবং ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে জাতি যে সময় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছিল সে সময়ই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করে। এই মর্যাদা ধরে রেখে দেশকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 www.khoj24bd.com bangla News web portal.
Theme Customized By BreakingNews