ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণে অধিকৃত অঞ্চলে রাশিয়া চার লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের ডেপুটি ইন্টেলিজেন্স চিফ ভাদিম স্কিবিটস্কি।
স্থানীয় সময় শনিবার কিয়েভের একটি সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেছেন। খবর এনডিটিভির।
তিনি বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশন ক্রিমিয়াসহ অস্থায়ীভাবে দখলকৃত আমাদের অঞ্চলগুলোতে চার লাখ ২০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে।
স্কিবিটস্কি বলেন, ২০১৪ সালের মতো রাশিয়া এক মাস ধরে ক্রিমিয়া থেকে সক্রিয়ভাবে আক্রমণ শুরু করেছে। ক্রিমিয়াতে মোতায়েন করা ড্রোনগুলো আমাদের ইজমেল এবং রেনি বন্দরের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার কিয়েভ এবং আশপাশের অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভের বেশ কিছু এলাকায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষও পড়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, রোববার ভোরে রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী ও এর অঞ্চলজুড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং শহরের কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোর কয়েকটিতে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, ড্রোন হামলায় কিয়েভের ঐতিহাসিক পোডিল এলাকায় একজন আহত হয়েছেন এবং শহরের একটি পার্কের কাছে আগুন লেগে যায়। এ ছাড়া বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ ডার্নিটস্কি, সোলোমিয়ানস্কি, শেভচেনকিভস্কি, সোভিয়াটোশিনস্কি এবং পোডিল এলাকায় পড়ে বলে ক্লিটসকো ও শহরের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে।
অন্যদিকে শেভচেনকিভস্কি জেলায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ একটি অ্যাপার্টমেন্টের ওপরে পড়লে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে অবশ্য তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কারও আহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে সাড়ে পাঁচশো দিনেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে উভয় দেশের মধ্যে। এছাড়া সংঘাতের এই পর্যায়ে এসে মস্কো প্রায়ই রাতের বেলা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে।
Leave a Reply