চটি সদস্য রাষ্ট্রে ইউক্রেনের শস্য আমদানি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে তাৎক্ষণিক বিষয়টির বিরোধিতা করেছে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া। খবর এএফপির।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অবসানের বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলো আজ শেষ হয়ে যাবে।’ অর্থাৎ, নিষেধাজ্ঞা শুক্রবার দিনগত মধ্যরাত থেকে অকার্যকর।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী বিভাগ বলছে, ‘ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের বাজার পরিস্থিতির বিকৃতি আর নেই।’
ইইউ কমিশন বলেছে, ‘শস্যের সরবরাহ বৃদ্ধি এড়াতে’ ৩০ দিনের মধ্যে রপ্তানি লাইসেন্সিং ব্যবস্থা চালু করতে কিয়েভ সম্মত হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ইইউভুক্ত প্রতিবেশী দেশগুলোর বাজার বিপর্যস্ত না করতে ইউক্রেন গম, ভুট্টা ও সূর্যমুখী বীজের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রাসেলসের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি কিয়েভ ও ইইউর মধ্যে ‘সত্যিকারের ঐক্য ও বিশ্বাসের উদাহরণ’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, ‘যুদ্ধের সময় ইউক্রেনকে সমর্থনের জন্য আমাদের প্রতিবেশীদের প্রয়োজন। যদি তাদের সিদ্ধান্তগুলো ইইউ আইন লঙ্ঘন করে, তবে ইউক্রেন সভ্য পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়া জানাবে।’
ইইউ বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিস সদস্য দেশগুলোকে একতরফা পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি সবাইকে চুক্তিমতো কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তবে আশ্বাস সত্ত্বেও পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া ঘোষণা দেয়, তারা তাদের দেশে ইউক্রেনের শস্য আমদানির নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দেবে। পোলিশ সরকারের মুখপাত্র পিওটর মুলার দেশটির সংবাদ সংস্থা পিএপিকে বলেন, ‘আমরা ইউরোপীয় কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই। দেশের কৃষক ও ভোক্তাদের স্বার্থে আমরা জাতীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করছি।’
আগামী মাসে পোলান্ডের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এতেই স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে ইস্যুটি। শস্য আমদানির ইস্যুতে পোল্যান্ড ও ইউক্রেনের কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছে। কিয়েভ সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে হাঙ্গেরি জানিয়েছে, তারা চারটি বাড়িয়ে মোট ২৪ ইউক্রেনীয় পণ্যের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখতে চলেছে। হাঙ্গেরির নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা শস্যের মধ্যে রয়েছে সিরিয়াল, রেপসিড ও সূর্যমুখী বীজ, ময়দা, রান্নার তেল, মধু, নির্দিষ্ট মাংস ও ডিম।
অন্যদিকে স্লোভাকিয়ার সরকার বলছে, বছরের শেষ পর্যায়ে গমসহ চারটি ইউক্রেনীয় পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করবে।
Leave a Reply