নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল-আমিনের (৩৮) মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার হাঁপানিয়া সীমান্ত ফাঁড়ির (বিওপি) সংলগ্ন কৃষ্ণসদা এলাকায় সীমান্তের শূন্যরেখায় লাশ পৌঁছে দেন বিএসএফ সদস্যরা।
লাশ ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাঁপানিয়া সীমান্ত ফাঁড়ির নায়েক সুবেদার আবু তালেব বলেন, বুধবার রাত ৮টার দিকে সাপাহার উপজেলার কৃষ্ণসদা গ্রামে সীমান্তের ২৩৬ প্রধান স্তম্ভের (মেইন পিলার) কাছে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর পর রাত ৯টার দিকে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। লাশ গ্রহণ করার সময় পোরশা ও সাপাহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতের কোনো একসময় আল আমিন আরও কয়েকজনের সঙ্গে নিতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর প্রধান স্তম্ভের (মেইন পিলার) পাশ দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের মিলমারী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের মালদহ জেলার বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের আগ্রাবাদ ক্যাম্পের জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএসএফের সদস্যরা আল আমিনের মরদেহ নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে নিতপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে শূন্যরেখায় বিএসএফ ও বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে লাশ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পোরশা থানার ওসি মুহাম্মদ আতিয়ার রহমান বলেন, ভারতীয় পুলিশ ময়নাতদন্তের পর লাশ ফেরত দিয়েছে। শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন ছিল।
নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আল আমিন ভারত থেকে গরু আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। টাকার বিনিময়ে রাখাল হিসেবে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসতেন। মঙ্গলবার ভোরে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্যরা তাদের তাড়া করেন। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল আমিন পারেনি। বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই আল আমিন মারা যান।
Leave a Reply