দৈনিক শিক্ষা নিউজ প্রতিবেদন : স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য প্লট কেনার পরও রেজিস্ট্রি দলিল বুঝে না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ন্যাশনাল প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট (এনপিআই)। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এনপিআই-এর লিগ্যাল অ্যাডভাইজার সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. ইমদাদুল হক কাজী বলেন, এনপিআই প্রতিষ্ঠার পর থেকে তা রাজধানীর মহাখালীতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু করোনায় লকডাউনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় সর্ব সিদ্ধান্তক্রমে এনপিআইয়ের জন্য নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইমদাদুল হক কাজী বলেন, মো. সালাউদ্দিন এবং সালাউদ্দিনের পিতা জহির উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সময়ে এনপিআই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রাজউক কর্তৃক বরাদ্দকৃত প্লট এবং জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্লট এবং জমি বিক্রয় বাবদ ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক চেক, ব্যাংক ডিপোজিট, পে অর্ডারের মাধ্যমে এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নগদ টাকা বাবদ মো. সালাউদ্দিন মোট সাত কোটি ৫৮ লাখ নয় হাজার ৮২০ টাকা গ্রহণ করেছেন।
এখন পর্যন্ত প্লটগুলোতে প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ বাবদ বিভিন্ন সময়ে মোট এক কোটি ৭০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। সর্বমোট নয় কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮২০ টাকা জমি ও ভবন নির্মাণ বাবদ খরচ করার পরও সালাউদ্দিন জমি এবং প্লট রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পরিবর্তে এনপিআইকে এ প্লটগুলো থেকে উৎখাত করার জন্য পাঁয়তারা শুরু করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের এ অ্যাডভোকেট আরও জানান, মো. সালাউদ্দিন ও জহির উদ্দিন পেশিশক্তির বলে এ ধরনের কার্যক্রম শুধু এনপিআইয়ের সঙ্গেই করেনি, রাজউক থেকে আবাসিক প্লট হিসেবে বরাদ্দকৃত আশেপাশের অনেক প্লট জোরপূর্বক তারা মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার সাইনবোর্ডের আড়ালে দখল করে রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো. গোলাম হোসেন, মো. মকবুল হোসেন, আলতাফ হোসেন, মো. জয়নাল উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply