শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বিদেশি কোম্পানিকে বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার সার্বিক কাজ। ইতোমধ্যেই ৯৫ থেকে ৯৮ ভাগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। চলতি মাসেই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে পরিবেশ বান্ধব এই সার কারখানাটি।
বুধবার নরসিংদীর পলাশে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কমিশনিং কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, নিরবচ্ছিন্ন সার সরবরাহ নিশ্চিত করে শিল্প মন্ত্রণালয় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। সার কারখানা পর্যায়ে উৎপাদন যেন কোনো অবস্থায় ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সার কারখানার উৎপাদন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়ার লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। একই সঙ্গে কারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কারিগরি জনবলের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন জনবল নিয়োগ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ নামক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিরাট ভূমিকা রাখবে। নতুন সার কারখানাটি স্থাপিত হলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি সার আমদানির উপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে, কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, স্থানীয় এমপি ড. আনোয়ারুল আশরাফ খান, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রকল্প পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply