দৈনিক শিক্ষা নিউজ প্রতিবেদন : চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির পূর্বে এনটিআরসিএ’র সনদ প্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের জন্য আলাদা বদলির গণবিজ্ঞপ্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষকরা। তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে স্বল্প বেতন দিয়ে পরিবারকে চালানো ও নিজেরা কর্মস্থলে থেকে জীবন পরিচালনায় নাভিশ্বাস হয়ে পড়ছে। অতি দ্রুত আমরা বদলির বাস্তবায়ন চাই।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিবন্ধিত শিক্ষকদের বদলি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।
বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী অবসর কল্যাণ বোর্ডের সচিব শাহজাহান আলম সাজু বলেন, শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিলেও কেন এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না? মূলত এই বদলিতে বাধা কতিপয় নামধারী আমলারা। যারা বদলি প্রত্যাশী তাদের বদলিটা হওয়া প্রয়োজন। একজন শিক্ষককে সঠিকভাবে পাঠদান করানোর জন্য নিজের এলাকায় বদলি প্রয়োজন। এসব সমস্যার সমাধান একটাই শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা।
সংগঠনের সভাপতি তন্ময় রায় জয় বলেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকমণ্ডলী এককথায় সরকার তথা রাষ্ট্রের উত্তম ভিত্তি। আর এই শিক্ষা সেক্টরে রয়েছে নানা অসঙ্গতি ও বৈষম্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বদলি প্রথা চালু না থাকা। পৃথিবীর কোথাও কোনো চাকরি নাই যেখানে বদলি নাই। এই বদলি প্রথা না থাকার কারণে প্রায়ই লক্ষাধিক শিক্ষক মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছে। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ তাদের নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ৭০০-৮০০ কি.মি. আবার কোথাও ৩০০-৪০০ কি.মি. দূরে নিজের বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানাদি ও আত্মীয় স্বজন রেখে দু’জায়গায় দুই সংসার পরিচালনা করছে এই স্বল্প বেতনের মাধ্যমে। শিক্ষকের প্রথম বেতন ১২৭০০ টাকা কিন্তু বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির কারণে, এই বেতন দিয়ে প্রত্যেকটা শিক্ষকের নাভিশ্বাস চলে আসছে।
তিনি বলেন, স্ত্রী সন্তান ভাই বোন ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে কাতরালেও তাদের একবার দেখার মত সুযোগ হয় না। এক কথায় শিক্ষকরা দুর্বিষহ জীবন অতিক্রম করছে। তাই অবিলম্বে আমরা বদলি ব্যবস্থার বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নিবন্ধিত শিক্ষকরা
Leave a Reply