জয়পুরহাট, ৪ সেপ্টেম্বর: জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা নারীরা এখন আয় বর্ধন মূলক কাজ করে সংসারে বাড়তি আয়ের পাশাপাশি নিজেরা আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন। পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের লকমা গ্রামর সখিনা বেগম গাভী পালন করে এখন স্বাবলম্বী ।
এসময় সংসারে অভাব ছিল নিত্য সঙ্গী। এ অবস্থায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জাকস ফাউন্ডেশনের এক লাখ টাকা অনুদান পেয়ে একটি গাভী কেনা ও গোয়ালঘর তৈরি করেন। একটি গাভী থেকে তার ঘরে আসে সাতটি গরু । চারটি গরু বিক্রি করে বর্তমানে সখিনা বেগম দুই বিঘা জমি বন্ধকী গ্রহণ করেছেন। তার ঘরে এখনও একটি বড় বাছুর এবং দুগ্ধবতী গাভীসহ তিনটি গরু আছে। সখিনা বেগম জানান, সংসারে অভাব লেগেই থাকতো। শুধু স্বামী আলতাফ হোসেনের আয় দিয়ে সংসারে লবন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। তখন পাশে দাঁড়ায় এবং সহযোগিতা করে জাকস ফাউন্ডেশন। পল্লী নারী সদস্যদের স্বাবলম্বী করতে এক লাখ টাকা অনুদান দিয়ে গোয়ালঘর নির্মাণসহ একটি করে গাভী প্রদান করে। এ সহযোগিতায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ওই এলাকায় বসবাস করা অসহায় নারীরা। গাভী পালনের মাধ্যমে সংসারে বাড়তি আয়ের পাশাপাশি নিজের ক্ষমতায়নেও বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। সখিনার সাফল্য দেখতে ঢাকা থেকে প্রকল্প পরিদর্শনে আসেন পিকেএসএফ’র সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। জাকস ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক ( প্রোগ্রাম) মোঃ ওবাইদুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত ৩০৫ জন অসহায় মানুষকে এককালীন অনুদান হিসেবে ১৮ লাখ ৩০ হাজার প্রদান করা হয়েছে। জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ নূরুল আমিন জানান, গ্রামীণ পর্যায়ে বসবাস করা জনগোষ্ঠী যারা অসহায় এবং দুস্থ তাদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য পিকেএসএফ’র সহায়তায় ওই বিশেষ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
Leave a Reply