এনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে টানা ৩০ মিনিটের মতো হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আদালতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। বিচারপতিরা চলে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ‘ শেইম, শেইম’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। এজলাস কক্ষের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে সম্পূরক আবেদনের শুনানি হয়। আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম, অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা এ আবেদন করেছেন।
শুনানি শেষে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে হাইকোর্টের এই বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা জানিয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
গত ২২ আগস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
ওই রুল শুনানির জন্য আট বছর পর হাইকোর্টে আবেদন জানায় রিটকারী পক্ষ। কিন্তু তারেক রহমানের ঠিকানা ভুল থাকায় নোটিশ সঠিকভাবে জারি হয়নি। এ কারণে ঠিকানা সংশোধন করে ফের আবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই নির্দেশনা অনুসারে তারেক রহমানের ঠিকানা সংশোধন করে নোটিশ জারির নির্দেশ দেন আদালত। এরপরই গত সপ্তাহে নোটিশ জারি করা হয়।
Leave a Reply