ঢাকার ধামরাইয়ে তানিয়া আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচারণা চালানো হয়েছে। তবে তানিয়ার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, রাগ-অভিমানে শনিবার দিবাগত রাতে সবার অগোচরে তানিয়া আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার সকাল ১১টায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করতে ওই গৃহবধূর বাবা ও স্বামীর বাড়ির লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক চলছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ধামরাই থানার পুলিশ।
তানিয়া আক্তার ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের বাউখন্ড গ্রামের ঠান্ডু মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী রাজীব একই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
তানিয়ার স্বামী মোহাম্মদ রাজিব হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীর অনেক জেদ ছিল। তাই সে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। তাকে হত্যা করিনি। মেডিকেল রিপোর্টের পরই স্পষ্ট হবে।
তানিয়ার বাবা শান্ত মিয়া বলেন, মেয়ের স্বামী রাজু হোসেনসহ পরিবারের সবাই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে অমানুষিক জুলুম নির্যাতন করত। একটি মুহূর্তের জন্য আমার মেয়েকে শান্তিতে থাকতে দিত না।ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা করছে। এর উপযুক্ত বিচার চাই। ওরা যদি হত্যা না করে থাকে তাহলে মীমাংসার জন্য আমাকে টাকা পয়সা দিতে চাচ্ছে কেন? এ প্রশ্ন সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি হারুন অর-রশিদ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply