দিনাজপুরের পার্বতীপুরে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে পার্বতীপুর রেলস্টেশনে প্রবেশের আগ মুহূর্তে ক্যারেজ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকশ যাত্রী বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটীগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস পার্বতীপুরের আউটার সিগন্যাল অতিক্রম করে। পথিমধ্যে স্টেশনে প্রবেশের আগ মুহূর্তে ট্রেনের পেছন থেকে দুই নম্বর ঞ বগির হুইল মেজারমেন্ট ভেঙে সামনের চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।
আরমান নামে এক যাত্রী বলেন, হঠাৎ চলতি গাড়ি স্টেশনে ঢোকার আগে বিকট শব্দে স্লো হয়ে থেমে যায়। এতে অনেকে চিৎকার শুরু করে দেন।
রহিমা নামে আরেক যাত্রী বলেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। গতি বেশি থাকলে ক্ষয়ক্ষতি হতো।
ট্রেনের পরিচালক মো. সিফাত জানান, হুইল মেজারমেন্টর সমস্যার বিষয়টি ৫ দিন আগে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশে চেকিংয়ের সময় আমাদের নজরে আসে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। গত রাতে চিলাহাটী থেকে ঢাকা অভিমুখে যাওয়ার পথে সান্তাহার রেল স্টেশনে ক্যারেজ ফিটাররা দেখে ঠিক করে যায়। বুধবার ট্রেনটি জয়পুরহাট থেকে বিরামপুর স্টেশনে পৌঁছানোর পর থেকে সমস্য দেখা দিলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে আবারও জানানো হয়। তিনি ৬০ কি.মি. গতিতে গাড়ি চালিয়ে যেতে বলেন।
লোকোমোটিভ মাস্টার মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি গার্ড আমাকে আগেই অবহিত করেছিলো। পার্বতীপুর-সান্তাহার স্টেশনের মধ্যে ট্রেনের গতি ৯০ কি.মি. হলেও আমি ৬০ কি.মি. গতিতে চালিয়ে আসি। পার্বতীপুর স্টেশনে প্রবেশকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঝ, ঞ এবং ট এ তিনটি বগি কেটে রেখে ট্রেনটি স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
পার্বতীপুরের স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম বলেন, দেড় ঘণ্টা বিলম্বে ৪টা ৫৫ মিনিটে দুটি বগি কেটে রেখে ট্রেনটি চিলাহাটী অভিমুখে ছেড়ে যায়।
Leave a Reply