বান্দরবানে পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে র্যাব নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। এ অভিযানে র্যাব ছাড়াও অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র উদ্ধার এবং কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে র্যাব। সন্ত্রাসীদের দমনে পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মতো সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হবে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। এদিকে রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার কাছ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট এবং অপহরণের ঘটনায় রুমা থানায় ৩টি ও থানচি থানায় ১টিসহ চারটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। রুমা-থানচিতে কেএনএফ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সশস্ত্র সংগঠনটির একের পর এক তাণ্ডবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে শনিবার বান্দরবানের রুমা-থানচি আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
জানা গেছে, জেলার রুমা-থানচি-রোয়াংছড়ি-আলীকদম- এ চারটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় র্যাব কম্বাইন্ড অপারেশন শুরু করেছে। জেলাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খন্দকার আল মঈন বলেন, র্যাবের অপারেশন চলমান রয়েছে। পাহাড়ে সংঘাত নিরসনে কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে স্থানীয়ভাবে গঠিত ‘শান্তি রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে র্যাব পাহাড়ে কেএনএফ ও জঙ্গিবিরোধী অভিযান সাময়িক স্থগিত রেখেছিল। কিন্তু র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারির কাজ সব সময় চলমান ছিল। গোয়েন্দা তথ্যপ্রমাণ এবং কেএনএফের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ধারণা করা হচ্ছে কেএনএফ মূলত অর্থ এবং সংগঠনের লোকজনদের উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষমতা দেখাতেই ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করেছিল ভল্টের চাবি না দেওয়ায়।
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, যৌথ বাহিনী বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। কেএনএফের অবস্থান চিহ্নিত করেই অপারেশন চলমান রয়েছে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বহির্বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সংগঠনটির সক্ষমতা জানান দিতে লুট, অপহরণ ও হামলার মতো ঘটনা কেএনএফ ঘটিয়েছে। সিসি ফুটেজ দেখে এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এর আগেও কুকি-চিন সদস্যরা টাকার বিনিময়ে জঙ্গি সদস্যদের অস্ত্র পরিচালনা প্রশিক্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রুমা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা না গেলেও র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ সবার প্রচেষ্টায় কোনোরূপ ঝুঁকি না নিয়ে তাদের কয়েকটি কৌশলের একটি ব্যবহার করে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গোপনীয়তার কারণে কোন কৌশল অবলম্বন এবং রুমার কোন স্থান থেকে ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে তা জানাননি তিনি।
যেভাবে উদ্ধার হলেন ব্যাংক ম্যানেজার : বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের আদ্যোপান্ত জানিয়েছে র্যাব। ব্রিফিংয়ে খন্দকার আল মঈন জানান, র্যাব একপর্যায়ে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ম্যানেজারের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কৌশলে বিভিন্ন চাপ প্রয়োগের ফলে ম্যানেজারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে সম্মত হয়। হস্তান্তর করার সময় যেন পরিবারের অন্য সদস্যরা অপহরণের শিকার না হন সে লক্ষ্যে সুকৌশলে র্যাবের সাদা পোশাকধারী চৌকশ একটি দল রুমা থানাধীন বেথেল পাড়া এবং বড়ুয়া পাড়ার আশপাশে অবস্থান নেয়।
র্যাবের কাছে ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলা এবং হামলার পরে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। ম্যানেজার র্যাবকে জানান, মঙ্গলবার রাতে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত শতাধিক সশস্ত্র কুকি-চিন সদস্য রুমা সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ব্যাংক এবং আশপাশের এলাকায় ভীতি সঞ্চার করে তাকে খুঁজতে থাকে। লোকের মাধ্যমে জানতে পারে পার্শ্ববর্তী মসজিদে এশার নামাজ পড়ছেন তিনি। সন্ত্রাসীরা মসজিদে প্রবেশ করে সব মুসল্লিকে জিম্মি করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর আগে তিনি সন্ত্রাসীদের কৃষি কর্মকর্তা পরিচয় দিলে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে পরিচয় নিশ্চিত হয় কুকি-চিন। এ সময় সন্ত্রাসীরা এক ধরনের সামরিক পোশাক পরা ছিল। মুখমণ্ডল কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। ব্যাংকের চারপাশ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘিরে রেখেছিল।
ম্যানেজার জানান, সন্ত্রাসীরা জানতে চেয়েছে ঘটনার দিন ব্যাংকে কত টাকা নিয়ে আসা হয়েছে এবং ব্যাংকের ভল্টে মোট কত টাকা রক্ষিত আছে। সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে ম্যানেজারের কাছে ব্যাংকের ভল্টের চাবি চাইলে তখন তিনি কৌশলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তারপর তারা ভল্ট ভাঙতে চেষ্টা করে। পরে ম্যানেজারের কাছ থেকে আরও জানতে পারে, ভল্টে আঘাত করলে সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যাপারটি সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস জেনে যাবে। তখন তারা ম্যানেজারকে অপহরণ করে। পাহাড়ি এলাকায় যাওয়ার পরপরই চোখ বেঁধে ফেলে। টানা দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা কোনো এক অপরিচিত পাহাড়ের ঝিরিপথে হাঁটিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তার সঙ্গে ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছিল। পথে তারা চোখ খুলে দেয়। অন্ধকারে চলার সুবিধার্থে হাতে একটি বাটন ফোন ধরিয়ে দেয়। পথে তারা কিছু সময়ের জন্য বিশ্রামের সুযোগ দেয়। এরপর আবার হাঁটায়। রাত আনুমানিক আড়াইটায় নীরব অজ্ঞাত এক স্থানে তাকে নিয়ে গিয়ে ঘুমানোর সুযোগ দেয় এবং যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তারা পাহারা দেয়।
ঘটনার পরদিন সকালে সামান্য নাশতা দিয়ে আবারও হাঁটিয়ে পাহাড়ি ঝিরিপথ দিয়ে অন্য একটি পাহাড়ের ঝিরিতে নিয়ে যায়। সেখানে ৩০-৩৫ জনের মতো সশস্ত্র সন্ত্রাসী অবস্থান করছিল। এ সময় তারা কলা পাতায় করে গরম ভাত, ডাল ও ডিম ভাজি খেতে দেয়। পরে সেখান থেকে হাঁটিয়ে অন্য জায়গায় পুনরায় নিয়ে যায়। সেখানে ১৫-২০ মিনিটের মতো বিশ্রামের সুযোগ দেয়। সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে তারা ধাপে ধাপে বিশ্রাম এবং হাঁটার পর ভিন্ন একটি জায়গায় গিয়ে পৌঁছালে আবারও তাকে গরম ভাত, ডাল ও ডিম খেতে দেয়।
র্যাব জানায়, অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ম্যানেজারকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেয় এবং কোনো প্রশাসনিক বা আইনি সহায়তা যাতে না নেয়, তার পরিবারকে সেজন্য সতর্ক করে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ওই সূত্র ধরে র্যাব অবস্থান শনাক্ত করে।
কী বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা : কয়েকজন জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করে বলেন, কেএনএফ পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তার এবং অপহরণ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। পুরো বম জনগোষ্ঠীকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মকাণ্ডের খেসারত দিতে হচ্ছে। রুমা উপজেলার মুন্নুম পাড়া, আত্তা পাড়া, বেতেলপাড়া, রনিনপাড়া এলাকাগুলো ঘিরেই কেএনএফের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। কেএনএফের সঙ্গে বম জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর একটি সংখ্যা জড়িয়ে পড়েছে। কেএনএফ তাদের নানাভাবে বাধ্য করেছে। বম জনগোষ্ঠীর সাধারণ মানুষজনদের সঙ্গে মিলে সব ইনফরমেশন কেএনএফকে সোর্সরা সরবরাহ করছে।
বম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও শান্তি রক্ষা কমিটির সদস্য লালসাম বম বলেন, কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে বড় খেসারত দিতে হচ্ছে বম জনগোষ্ঠীকে। কেএনএফের অত্যাচার-নির্যাতনে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর পাহাড়িদের অনেকে মিজোরামে পালিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে অনেককে ইতোমধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কেএনএফকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পাহাড়ে সংঘাত আরও বাড়বে। এতে সাধারণ পাহাড়িরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শান্তি রক্ষা কমিটির সভাপতি ক্যশৈহ্লা বলেন, কেএনএফ সম্ভবত চাচ্ছে না বম জনগোষ্ঠীর মানুষজন সুখে-শান্তিতে থাকুক। কেএনএফের নির্যাতনে মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া পরিবারদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে কর্মসংস্থান করে দেওয়া হয়েছে অনেককে। এটাও কেএনএফের পছন্দ হচ্ছে না। তাদের দাবি, বম জনগোষ্ঠীর সবাই কেএনএফের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হোক।
মানুষের মাঝে আতঙ্ক, ৪ মামলা : রুমা-থানচিতে কেএনএফ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের ঘটনায় থানচি বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্কের কারণে দোকানপাট খুললেও লোকজনের উপস্থিতি কম। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় থানচিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে রুমা-থানচিতে ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট এবং অপহরণের ঘটনায় ৪টি মামলা করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, মামলাগুলোতে আসামি অজ্ঞাত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে থানচি বাজারে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। কেএনএফের দুই শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী থানচি বাজার ঘেরাও করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে তাণ্ডব চালায়। এরপর তারা থানচি থানা লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। পরে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা থানচি-আলীকদম সড়কের ডিমপাহাড় এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পের ব্যারিকেডও ভেঙে ফেলে। ৩টি জিপ গাড়িতে করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আলীকদমের পথে ছুটে যায়। কেএনএফ সন্ত্রাসীরা রাত আড়াইটা পর্যন্ত ডিমপাহাড় সড়কে অবস্থান করছিল। খবর পেয়ে থানচি-আলীকদম সড়কের ২২ কিলোমিটার এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যাচ্ছেন আজ : রুমা-থানচিতে কেএনএফের সন্ত্রাসী তাণ্ডবের চিত্র দেখতে শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন।
পর্যটন খাতে ক্ষতি : পাহাড়ি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কুকি-চিনের সশস্ত্র হামলার পর আতঙ্কে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্পট বান্দরবান, বিশেষ করে রুমা এবং থানচি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পর্যটন তাদের আয়ের অন্যতম উৎস। এ খাতের ক্ষতি হলে তাদের জীবন-জীবিকাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
Leave a Reply