রংপুরে প্রাক্তন স্বামী ও তার আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে মারপিট, জমি দখলের চেষ্টা, হত্যার হুমকি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গঙ্গাচড়া উপজেলার ভুটকা মধ্যপাড়া এলাকার হায়দার আলীর মেয়ে রুজিনা বেগম সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
রুজিনা বেগম বলেন, কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ মিলন বাজার এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নানের সাথে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় গঙ্গাচড়া উপজেলার ভূটকা মধ্যপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর মেয়ে রুজিনা বেগমের। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। এগারে বছর আগে আব্দুল মান্নান মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হওয়ায় রুজিনা মৌখিকভাবে তাকে তালাক দেয় এবং রুজিনার নিজস্ব টাকা দিয়ে গঙ্গাচড়ার ভূটকা মধ্যপাড়ায় পাঁচ শতক জমি কিনে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করে। এরপর আব্দুল মান্নান আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ওই জমি নিজের দাবি করে এক শতক জমির মাটি কেটে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন সময়ে রুজিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া উপজেলার ভূটকা মধ্যপাড়ার ছবির উদ্দিনের ছেলে সবুজ মিয়া, বাবু মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম, নেরী বাউয়ার ছেলে ছবির উদ্দিন, ছবিল উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম, সবুজ মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া, সবুজ মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম ও মীম মিয়া’র বিরুদ্ধে রুজিনা গঙ্গাচড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি আপোষ মিমাংসা হয়। এরপর আব্দুল মান্নান ও তার আত্মীয় স্বজনরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। রুজিনাকে বাড়ি ছাড়া করতে তাকে ও তার মেয়েকে দেহ ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় অপ-প্রচার চালায় এবং তাকে বাড়ি ছাড়া করতে মারপিট করা, বসতবাড়িতে ঢিল ছোড়াসহ নানা অন্যায়-অত্যাচার চালায়। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে হারাগাছ থানায় মামলা দায়ের করেন রুজিনা। এরপরেও আব্দুল মান্নান ও তার আত্মীয় স্বজনরা রুজিনার নামে মিথ্যা অপ-প্রচার ও বাড়িছাড়া করতে নানা ধরনের অত্যাচার চালায়। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আব্দুল মান্নান ও তার আত্মীয়-স্বজনরা নেশাগ্রস্থ হয়ে রুজিনার বাড়িতে ঢিলছোড়াসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় রুজিনা জরুরী সেবা নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রুজিনাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলে। কিন্তু থানা পুলিশ পরবর্তীতে মামলা না নিয়ে উল্টো রুজিনাকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। বর্তমানে রুজিনা ও তার সন্তানেরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, রোজিনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল। আমরা অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply