আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে ফের উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েক মাসের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পর আজারবাইজান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করার পর এই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাশিয়া নাগর্নো-কারাবাখের যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার আজারবাইজান দক্ষিণ ককেশাসের আর্মেনিয়া-নিয়ন্ত্রিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে আর্টিলারিসহ সৈন্য পাঠায়। এর পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। সংঘর্ষে কয়েক ডজন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নাগর্নো-কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু এর কিছু অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনিয়ানরা নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের সমর্থন দিয়ে আসছে আর্মেনিয়া সরকার। তাদের দাবি, এটি তাদের পূর্বপুরুষের জন্মভূমি।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার বলেছে, নাগর্নো-কারাবাখে থাকা রাশিয়ার ২০০০ সদস্যের শক্তিশালী শান্তিরক্ষা মিশন বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নিচ্ছে এবং সংঘর্ষের মধ্যেও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে।
রুশ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা অবিলম্বে রক্তপাত ও শত্রুতা বন্ধ করতে এবং বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা বন্ধ করার জন্য বিবাদমান পক্ষগুলিকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সও মঙ্গলবার কারাবাখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করার জন্য আজারবাইজানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করেছে, দুই বেসামরিক নাগরিকসহ তাদের ২৭ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
রাজধানী বাকুতে আজারবাইজানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, নাগর্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত লড়াই চলবে।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছে, ‘অবৈধ আর্মেনিয়ান সশস্ত্র বাহিনীকে অবশ্যই সাদা পতাকা উত্তোলন করতে হবে। অন্যথায় সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত চলতে থাকবে।’
Leave a Reply