বঙ্গবন্ধুকে না বলা হাজারো কথা, আক্ষেপ, -আকাঙ্ক্ষার গল্প বর্তমান প্রজন্মের কাছ থেকে শুনতে সপ্তমবারের মতো ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখার প্রতিযোগিতা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী পর্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর. সি. মজুমদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের (ডিইউসিএস) এবারের আয়োজনে সারাদেশ থেকে মোট ৬৮৩টি চিঠি জমা হয় । এর মধ্যে জুনিয়র গ্রুপ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- নিশাত জাহান লাবণ্য, মো. কাওছার আহমেদ, রণিত অধিকারী, আবদুল্লাহ আল নোমান ও মালিহা ফাহমিদা লাবিবা।
সিনিয়র গ্রুপ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন- মহিমা গাজী অর্ণা, সাবিহা সুলতানা পুষ্পা, হৈমন্তি দাশ এশা, মেহের আফরোজ জাহান ও সামিউজ্জামান সামিন।
এবারের প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক, সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশগুপ্ত ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী কন্যা ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী।
উদ্বোধকের বক্তব্যে জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘নানাভাবে কালো শক্তি ঢুকে পড়ছে আমাদের আশেপাশে, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চলছে এখন।’
১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘অনেক হতাশার মধ্যে যে কয়কটি বিষয় নিয়ে আশা রাখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার মধ্যে অন্যতম। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখতে বসলে চোখের জলে, হৃদয়ের রক্তক্ষরণে সে চিঠি শেষ হবে না। আমি চাই, কোনোদিন আর বাংলাদেশ পিতৃহত্যাকারীকে হটস্পট হবে না। অসাম্প্রদায়িক, দরিদ্রবান্ধব, সমাজতান্ত্রিক একটি দেশ অটুট থাকুক যেখানে সবকিছুর মূলে থাকবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।’
সভাপ্রধানের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে আছি। যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা চলে যাবে না। এখন আমরা সচেতন না হলে আবার পঁচাত্তর পরবর্তী অন্ধকার সময়ে চলে যাবো। বঙ্গবন্ধুকে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল এই প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর কাছে কী চায় তা জানার চেষ্টা করা।’
ডিইউসিএস’র সভাপতি জয়ন্ত ভৌমিক বলেন, ‘আমরা চাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও সৃজনশীল চর্চা হোক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে পড়ুক। আমরা চাই আমাদের এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে আয়োজিত হোক। দেশের সকল মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করুক, আমাদের ভাবনা, সংস্কৃতি ও সকল চর্চায় বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকুক হাজার বছর।’
Leave a Reply