শেরপুর সংবাদদাতা: পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়েছে শেরপুরের তিনটি উপজেলার কৃষক। বালুর কারণে নষ্ট হয়ে গেছে চার একর রোপা আমন ধানের চারা। ফসল বাঁচাতে দ্রুত নদীর বাঁধ নির্মাণ ও বালু অপসারণের দাবি জানিয়েছেন কৃষক।
কয়েক মাস আগেও বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ছিল সবুজের সমারোহ। গেল অক্টোবরে আকষ্মিক বন্যায় শেরপুরের শ্রীবরর্দী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাইখালী, মহারশি, সোমেশ্বরী এবং ভোগাই নদীর বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় জনপদ ও ফসলি জমি।
এই বন্যায় শেরপুরে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ একর রোপা আমনের ক্ষেত্রের ক্ষতি হয়েছে। পানি নামার পর দেখা দিয়েছে নতুন বিপত্তি। বালুর নিচে ঢেকে গেছে চারশো একর ধানের চারা।
আসন্ন বোরো মৌসুম শুরুর আগে বাঁধ রক্ষা ও বালু অপসারণের দাবি জানিয়েছেন চাষীরা।
বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গম, ভুট্টা, বাদামসহ দোআঁশ মাটির সবজি চাষ করার পরামর্শ দিয়েছেন শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন।
এদিকে শিগগিরই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খান ।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, সাম্প্রতিক বন্যায় শেরপুরে তিন উপেজলায় বালুর নিচে পড়ে প্রায় দুই কোটি টাকার রোপা আমনের ক্ষতি হয়েছে।
Leave a Reply