দাম্পত্য কলহের কারণে ভেঙে গেছে ঢাকাই সিনেমার তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমনির সংসার। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজের ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী।
এর দুদিন পর ২০ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠে আসে তাদের বিচ্ছেদের খবর। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে রাজকে ছেড়ে দেওয়ার কারণ জানান পরী।
এদিকে রাজের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠানো হয়েছে। তাতে ডিভোর্স দেওয়ার চারটি কারণ উল্লেখ করেছেন পরীমনি। কারণগুলো হচ্ছে―মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজ না নেওয়া এবং মানসিক অশান্ত
রাজকে পরীমনির ডিভোর্স দেওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছেন কাজী আবু সাইদ। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমাদের সঙ্গে পরীমনির পক্ষের মানুষ যোগাযোগ করেন। লেটারে উল্লিখিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর তার আইনজীবীর গুলশান অফিসে ডিভোর্স হয়। সেখানে আমার সহকারী আলী আশরাফও ছিলেন। আর পর দিন উত্তর বাড্ডার আলীর মোড়ের সাঁতারকুল রোডে আমার অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করা হয় ডিভোর্স লেটার। তার পর ওই দিনই দুপুর ১২টার দিকে রাজের গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠানো হয়।
কাজী আরও বলেন, নিয়মানুযায়ী তিন মাস পর পর চিঠি পাঠানো হবে। রাজ যদি চিঠি গ্রহণ না করেন, তা হলে ৯০ দিন পর ডিভোর্স হয়ে যাবে তাদের। আর যদি তিন মাসের মধ্যে তারা সব মিটিয়ে ফেলেন, তা হলে ফের সংসার করতে পারবেন।
কাজী আবু সাইদ বলেন, ডিভোর্সের খবর জানতেন না রাজ। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নজরে আসে তার। বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজের ভাই পরিচয়ে একজন আমার অফিসে এসেছিলেন। তিনি কাবিননামার কপি ও ডিভোর্স সংক্রান্ত ডকুমেন্টস নিয়ে গেছেন।
Leave a Reply