চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : শতবর্ষী বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৯৮ ব্যাচ ‘হৃদয়ে ৯৮’ এর ২৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘রজতজয়ন্তী ২০২৩’ উদযাপিত হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবারে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্যাচের কৃতি শিক্ষার্থী ও ‘হৃদয়ে ‘৯৮’র সভাপতি ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও অত্র স্কুলের সাবেক প্রধানশিক্ষক বাবু হৃষিকেশ ভট্টাচার্য। ২৫ বছর আগের শিক্ষক মহোদয়গণও উপস্থিত ছিলেন তাঁদের প্রিয় প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের আমন্ত্রণে। ফুল দিয়ে বরণ করে ‘টোকেন অব রেস্পেক্ট’ নামে উপহার প্যাক দিয়ে সম্মান জানানো হয় সকল শিক্ষককে। আর ‘টোকেন অব লাভ’ নামে উপহার প্যাক প্রদান করা হয় সকল কর্মচারীদেরও। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ২ নং সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ‘৯৬ ব্যাচের কৃতিছাত্র কে. এম. সালাউদ্দীন কামাল ও ৩ নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ২০০১ ব্যাচের কৃতি শিক্ষার্থী জসিম উদ্দীন হায়দার। হৃদয়ে ‘৯৮ এর শিক্ষার্থী আইআইইউসি’র ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোরশেদুল আলম ও সি.এম.পি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কাবেরী দে’র সঞ্চালনায় গৌরবদীপ্ত এই আয়োজনে বক্তব্য রাখেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক কে.এম. মঈন উদ্দীন রাসেলসহ বিদ্যালয়ের প্রায় সকল সাবেক শিক্ষক মহোদয়গণ। হৃদয়ে ‘৯৮ এর পক্ষে ব্যাচের আরেক কৃতি শিক্ষার্থী অগ্রণী ব্যাংক গুনাগরি শাখার ব্যবস্থাপক বেলালুর রহমান এবং স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন ‘৯৮ ব্যাচের ছাত্র এসআইবিএল বালুছড়া শাখার ব্যবস্থাপক মনিউল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল ওয়াজেদ, সাবেক সেনা সদস্য শ্যামল রুদ্র প্রমুখ। ২৫ বছর আগের স্মৃতিচারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সভাপতির স্বাগত বক্তব্যে ভেসে ওঠে স্কুল জীবনে ঘটে যাওয়া ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলো, বিদ্যালয়ের গৌরবদীপ্ত হারানো দিনগুলো, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মেলবন্ধন। বিদায় পরবর্তী সংঘটিত ১৯৯৮ ব্যাচের সুদৃঢ় বন্ধনের প্রশংসা ফুটে উঠেছে সকলের বক্তব্যে। বক্তাদের আলোচনায় উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা, শিক্ষার মান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে করণীয়, বিদ্যালয়ের প্রতি প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের ভালোবাসা ও চাহিদার বিষয়গুলো উঠে এসেছে, যেন এক অদৃশ্য টান অনুভূত হয় প্রিয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি। ছাত্রছাত্রীদের এমন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় শিক্ষকদের মুখেও প্রশান্তি লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলে অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ব্যাচের নাম সম্বলিত ক্রেস্ট ও কলম দিয়ে সম্মানিত করা হয় উপস্থিত সবাইকে। বিভিন্ন গেমসের আয়োজন করে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলা হয়। বিজয়ীদের মাঝে আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। স্কুলের ১৯৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্বপরিবার উপস্থিতি, স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আয়োজনটি সফল ও স্বার্থক করার জন্য সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ, হাসি-ঠাট্টা, আনন্দ-উল্লাস ও গ্রুপ ফটোশেসন শেষে ‘হৃদয়ে ৯৮’ এর রজতজয়ন্তী উদযাপনের সমাপ্তি হয়।
Leave a Reply