নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতু চালুর পর সদরঘাটের চিরায়িত চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
শুক্রবার ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর আগে এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। আগে আমাকে স্পিড বোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হয়েছে। সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসতে পারিনি। কারণ গোলাপ শাহ্ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত। এখন পদ্মা সেতুর কারণে সেই শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। এ জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি। তারা স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে। কোনো ধাক্কাধাক্কি নেই। আগে দেখতাম লঞ্চে জায়গা নেওয়ার জন্য রাত ৮টায় লঞ্চের যাত্রীরা সকালে এসে লঞ্চে বসে থাকত দুপুরের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে। বর্তমানে সেই অবস্থা নাই।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মেট্রোরেলের সুবিধা পুরান ঢাকাবাসীও পাবে। মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির বিষয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কাজ করছেন। ওই সময় তেমন কিছু করতে না পারলেও বিগত পনেরো বছরে তিনি বাংলাদেশকে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দিয়েছেন। সদরঘাটের সঙ্গে মেট্রোরেলের কানেকশন হয় সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণঞ্চালবাসীও মেট্রোরেলে করে সদরঘাট আসতে পারবে। এটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হবে। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। সদরঘাটও এ সুবিধা পাবে।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেকটা পিছিয়ে ছিল। তাদের তুলে আনার জন্য পায়রা বন্দর করা হয়েছে। বন্দরটি হওয়াতে ওই অঞ্চলের চিত্রে পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই পদ্মা এবং পায়রা বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আগামী দিনে সদরঘাট আরও ফিটফাট হবে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাজিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য সেলিম ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply