প্রাত্যহিক জীবনের কাজের চাপ ও দৌড়ঝাপের মাঝে নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। এর ফলে ওজনবৃদ্ধি, ডায়বিটিজের মতো নানান রোগের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের দিনে জানুন কোন কোন উপায় ফিট ও এনার্জেটিক থাকবেন।
১. এক দিনে অন্তত ৫ হাজার স্টেপ হাঁটুন। স্বাস্থ্যের পক্ষে খাবার যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি রোজ হাঁটাচলা করা। খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটা উচিত। সকালে আধ ঘণ্টা জোর কদমে হাঁটলে উপকার পেতে পারেন। সকালে সময় না-পেলে রাতে খাবার খাওয়ার পর আধ ঘণ্টা অবশ্যই হাঁটুন।
২. সুস্থ থাকার জন্য ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করা উচিত। এটি আপনাকে হাইড্রেট রাখবে ও খাবার হজম করতেও সাহায্য করবে। লাগাতার জল খেলে শরীরের সমস্ত টক্সিন অপসারিত হয়। কম জল পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকে শুষ্কভাব ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. ভুলেও প্রাতঃরাশ বাদ দেবেন না। ভরপেট প্রাতঃরাশ করলে সন্ধে পর্যন্ত এনার্জেটিক অনুভব করবেন।
৪. রাতে কম খাবার খাওয়া অভ্যেস করুন। রাতে কম খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ রাতে হজমের জন্য শরীরকে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তাই রাতে হাল্কা ও কম খাবার খাওয়া উচিত।
৫. চা ও কফি কম পান করলে শরীর সুস্থ থাকে। অনেকেই অভ্যেসবশত চা ও কফি পান করে থাকেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে এঁদের পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখুন। বেশি পান করলে শরীরের ক্ষতি হয়।
৬. চা ও কফির পরিবর্তে গ্রিন টি শরীরের পক্ষে অধিক উপকারী। এটি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে যার ফলে হজম তাড়াতাড়ি হয়। এর ফলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন দ্রুত শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই দিনে দুবার মধু মিশিয়ে গ্রিন টি পান করুন।
৭. ফাস্টফুড খেতে সকলেই ভালোবাসেন। কিন্তু এই খাবারগুলি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এতে অধিক পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তাই ফাস্টফুড ও বাইরের খাবার খাওয়া এড়িয়ে যান। ওজন কমাতে চাইলে তো অবশ্যই এগুলি খাওয়া বন্ধ করুন।
৮. নেশা করা শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর। মদ্যপান ও ধূমপান ফুসফুস ও লিভারের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে নেশা থেকে দূরে থাকুন।
৯. নিয়মিত এক্সারসাইজ ও ব্যায়াম করুন। যোগাসন শরীরকে নমনীয় করে, পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও জরুরি। যোগাসন নানান রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পারে। মাথা ব্যথা থেকে শুরু ক্যান্সারের চিকিৎসায় যোগাসন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
১০. সুস্থ থাকতে মিষ্টি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকে ও ডায়বিটিজের মতো মারণ রোগের হাত থেকেও বাঁচা যায়। এ ছাড়াও মিষ্টি কম খেলে ওজন কম করতে সাহায্য পাবেন।
১১. সর্বোপরি ভালো ঘুম সুস্থ থাকতে জরুরি। যাঁরা রাতে ঠিক-ঠাক ঘুমাতে পারেন না, তাঁরা প্রায়ই কোনও না-কোনও রোগে ভুগতে থাকেন। শরীর ও মস্তিষ্ক— উভয় ক্ষেত্রেই ভালো ঘুম প্রভাব বিস্তার করে। পর্যাপ্ত ঘুম না-পেলে রাতে কফি পান করা ও দেরি পর্যন্ত জেগে থাকা বন্ধ করুন। অন্যদিকে অবসাদ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ব্রিদিং এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন ব্যক্তিকে অবসাদ মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
Leave a Reply