আমাদের দেশে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বিভিন্ন বাহনের চালকরা হর্ন বাজান। আর তাই সড়কে চলাচলের সময় হর্নের আওয়াজে টেকা দায়। এমনকি ‘নো হর্ন জোনে’ দেদারসে হর্ন বাজানো হয়।
তবে জানলে অবাক হবেন প্রতিবেশি দেশ ভারতের মিজোরাজের রাজধানীতে হর্ন বাজানো নিষেধ। এবং সে দেশের চালকরা এই আইনটি মেনেও চলেন।
মিজোরামের রাজধানী এবং প্রধান শহর আইজলে কোনোভাবেই হর্ন বাজানোর সুযোগ নেই। আইন ভঙ্গ করলে গুণতে মোটা অঙ্কের জরিমানা। এটাই ভারতের একমাত্র হর্নবিহীন শহর।
শব্দ দূষণ কমেতে ভারতের এই রাজ্য সরকার শহর হর্ন ছাড়াই চালকদের গাড়ি চালাতে অভ্যস্ত করে তুলেছে। মূলত শব্দ দূষণ কমিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ।
মিজোরামের আইজল শহরে নাগরিকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে সারা শহরজুড়ে হর্ন বন্ধের কথা বিলবোর্ড এবং ব্যানার লিখে প্রচার চালানো হচ্ছে। নো-হংকিং নিয়ম লঙ্ঘনের করলে আইজলে জরিমানা এবং অন্য কোনো শাস্তি দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ট্র্যাফিক পুলিশ যথেষ্ট তৎপর এবং কঠোর। অতিরিক্ত হর্নের কারণে শান্তি বিঘ্নিত হলে এবং শব্দ দূষণের কারণে জরিমানা করাও যেমন চলছে, তেমনই বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে নিত্যদিন। বেশিরভাগ নাগরিকই নো-হংকিং নিয়ম মানছেন।
নো-হংকিংয়ের সুবিধা
আইজলের নো-হঙ্কিং নীতির ফলে শহরে একটি নির্মল এবং শান্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বলাবাহুল্য, এই নয়া নীতির ফলে শহরের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে। স্থানীয়রাও শব্দদূষণের হাত থেকে বাঁচবেন। পরিবেশ নির্মল হবে।
পথের নিরাপত্তা বেড়েছে
হর্ন বাজানো বন্ধের কারণে গাড়ি চলাচল বা পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়বে। কোলাহল কম হলে নাগরিক জীবন সুগম হবে বলেও আশা মিজোরাজ প্রশাসনের।
নো-হংকিং নীতির কারণে আইজল শহর তার মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির বজায় রাখতে পারছে। পর্যটকরা স্থানীয় জীবনযাত্রাকে আরও ভালো করে উপভোগ করতে পারছেন। শব্দ দূষণ এবং বায়ু দূষণ হ্রাসের ফলে আইজল ক্রমশ একটি পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।
Leave a Reply