ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের বিবেচনায় মর্যাদাকর ব্যালন ডি’অরের জন্য ৩০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় এই মুহূর্তে বিশে^র শীর্ষ সারির প্রায় সকল খেলোয়াড় স্বাভাবিক ভাবেই জায়গা করে নিলেও ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর বাদ পড়া সকলের চোখে পড়েছে। ব্যালন ডি’অরের গত ২০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত মনোনীতদেওর তালিকা থেকে বাদ পড়লেন এই পর্তুগীজ সুপারস্টার।
বিশ^কাপ জয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেলম মেসি, ম্যানচেস্টার সিটির উদীয়মাস তারকা আর্লিং হালান্ড ছাড়াও ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেসহ গত মৌসুমে মাঠ মাতানো মোহাম্মদ সালাহ, বুকায়ো সাকা, জুড বেলিংহাম, কেভিন ডি ব্রুইনা, হ্যারি কেন, মার্টিন ওডেগার্ডসহ আরো অনেকেই এই তালিকায় থাকলেও জায়গা হয়নি রোনাল্ডোর।
২০০৩ সালে সর্বশেষ রোনাল্ডো এই তালিকার জন্য মনোনীত হননি। ঐ সময় তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম মৌসুম কাটিয়েছিলেন। এরপর প্রতিটি তালিকায় শীর্ষস্থানীয় নাম হিসেবে মেসির পাশাপাশি রোনাল্ডোও ছিলেন।
২০০৪ সালে প্রথমবারের মত রোনাল্ডো ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। এরপর টানা ১৯ বার তিনি তালিকায় ছিলেন। ১৯ বছর বয়স থেকে ৩৭ বছর বয়স পর্যন্ত প্রায় প্রতিবারই তিনি সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনীত হয়েছেন। ২০০৪ সালে জিনেদিন জিদানের সাথে রোনাল্ডো ব্যালন ডি’অরের তালিকয় জায়গা পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে জিদানের অধীনে তিনি রিয়াল মাদ্রিদে খেলেছেন। এছাড়া এই তালিকায় থাকা আরেক তারকা আন্দ্রে পিরলোর অধীনে জুভেন্টাসে রোনাল্ডো তার তিন বছরের শেষ মৌসুমটা কাটিয়েছেন। এছাড়াও ২০০৪-০৫ মৌনুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে রোনাল্ডো সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন ওলে গানার সুলশার ও মাইকেল ক্যারিককে। এই দুজনই পরর্তীতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে রোনাল্ডোর দলের কোচিং স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন।
প্রথমবারের মত ব্যালন ডি’অর তালিকায় মনোনীত হবার চার বছরের মধ্যে ২০০৮-০৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পোর্তোর বিপক্ষে ৪০ গজ দুর থেকে দুর্দান্ত এক গোলে করে পুসকাস এ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন রোনাল্ডো।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মত ব্যালন ডি’অর জয় করা রোনাল্ডো এরপর আরো চারবার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এই পুরস্কার জয় করেছেন। রোনাল্ডোর চির প্রতিদ্বন্দ্বী মেসি জিতেছেন রেকর্ড সাতবার।
Leave a Reply