প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিগত পাঁচ বছরে (জানুয়ারি ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত) নিবন্ধনকালীন দেয়া শর্ত লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন কারণে ২২৮টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অধীন নিবন্ধিত বিদেশি ২৬০টি ও দেশীয় ২ হাজার ২৬৬টি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মসিউর রহমান রাঙ্গার এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ অনুসারে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কোনো ব্যক্তি এবং এনজিও কর্তৃক পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম মনিটরিং করে থাকে। এ আইন অনুযায়ী, ব্যুরো মনিটরিং কমিটি গঠন করতে পারে এবং প্রয়োজনে বহিঃপর্যবেক্ষণকারী (থার্ড পার্টি অ্যাসেসর) নিয়োগ করতে পারে।
এছাড়া জেলায় জেলা প্রশাসক এবং ক্ষেত্রমতো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাদের নিজ নিজ এলাকায় এনজিও পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম ও এর অগ্রগতি প্রতি মাসে সমন্বয় সভার মাধ্যমে পর্যালোচনা করে থাকেন।
তিনি বলেন, প্রকল্পের নাম, প্রকল্পের মেয়াদকাল, টাকার পরিমাণ, প্রকল্প অনুমোদনের তারিখ, প্রকল্পের উদ্দেশ্য, প্রকল্প এলাকার সংশ্লিষ্ট তথ্য, জেলা/উপজেলায় প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ, বহুবর্ষী প্রকল্পের ক্ষেত্রে আলোচ্য বর্ষে বরাদ্দ, আলোচ্য বর্ষে প্রকৃত ব্যয়, প্রকল্পে উপকারভোগীর সংখ্যা, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণী, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অনুমোদিত পত্রের শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালিত হয়েছে কি না— এ বিষয়গুলো মনিটরিং করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অধীন নিবন্ধিত এনজিওর সংখ্যা বিদেশি ২৬০টি এবং দেশীয় ২২৬৬টি, মোট ২৫২৬টি। বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো এনজিও বা এনজিওতে কর্মরত ব্যক্তি এ আইন বা এর অধীন প্রণীত কোনো বিধি বা আদেশের বিধান লঙ্ঘন করলে, এ আইনের অধীন এবং সংবিধান এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক ও অশালীন কোনো মন্তব্য করলে বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে বা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা সহায়তা করলে অথবা নারী ও শিশু পাচার বা মাদক ও অস্ত্রপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে দেশে প্রচলিত আইনের আওতায় অপরাধ বলে গণ্য হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
Leave a Reply