দৈনিক শিক্ষা নিউজ প্রতিবেদন : প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সরকারি কলেজ স্থাপনের ঘোষণা দেওয়ার ৬ বছর পরও বেশিরভাগ কলেজ আত্তীকরণের কাজ সম্পন্ন না হওয়া এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের গ্রেড অবনমন করাসহ একাধিক সমস্যা তুলে ধরেন বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ (বাসকশিপ) নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা ৮ দাবি উপস্থাপন করেন এবং দাবি বাস্তবায়নে ৩০ সেপ্টেম্বর সময়সীমা বেধে দেনে। অন্যথায় ১ অক্টোবর পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা এবং তা বাস্তবায়নে শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানান।
শনিবার বেলা ২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বামকশিপ এর সভাপতি কে এম দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সকল বিষয় উপস্থাপন করা হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে জানানো হয়, সকলের নিজস্ব গ্রেড ও পদে আর্থিক সুরক্ষা বহাল রেখে আত্তীকরণের ব্যবস্থা করতে হবে; প্রাতিষ্ঠানিক ক্রটিতে বেসরকারি আমলে কর্মরত কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না; শিক্ষক-কর্মচারীদের পদসঞ্জনে পুনঃ যাচাই প্রক্রিয়াকে সহজ করে আত্তীকরণ করা এবং একই সার্কুলারে প্যানেলে নিয়োগপ্রাপ্ততে প্রাতিষ্ঠানিক প্রাপ্যতা অনুযায়ী আত্তীকরণে অন্তর্ভুক্ত করা; চাকরির প্রথম দিন থেকে গণনা করে ১৬ বছর পর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা; সকল জেলায় সরকারি স্কুলের কাজ দ্রুত শুরু করা এবং উপবিধি প্রণয়ন কমিটিতে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা; যোগদানের তারিখ থেকে শতভাগ কার্যকর চাকুরিকাল গণনা করে পদোন্নতি ও পদ সোপান তৈরি করা: আইসিটি শিক্ষকদের আত্তীকরণ এবং ন্যাশনাল এডুকেশন সার্ভিস গঠন করা।
উপস্থিত বক্তারা জানান, অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীদের গ্রেড অবনমন করে তাদের অসম্মানজনকভাবে আত্তীকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ছয় বছর অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত প্রতিটি জেলায় সরকারি কলেজ স্থাপন বাস্তবায়ন হয়নি। এসকল বিষয় বাস্তাবয়নে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি কামরুল আলম মিঞা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক মিয়া মুন্সী, সাংগঠিনক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন।