নিজস্ব প্রতিবেদক: খতনা করাতে গিয়ে ৫ বছরের একটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
এদিকে, এ ঘটনায় করা রিট মামলায় শিশুটির পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারাদেশে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা একমাসের মধ্যে জমা দিতে বলেছে আদালতে।
রাজধানীর বাড্ডার সাতালকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে মারা যাওয়া শিশু আয়ানের পরিবার ঘটনার তদন্তও ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট মামলা করে।
জনস্বার্থে করা এই রিটের সোমবার প্রাথমিক শুনানি করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহ’র নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালত ইউনাইটেড হাসপাতালের গুলশান শাখায় গত ১৫ বছরে অবহেলা জনিত কারণে কতগুলো রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাও তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন। শিশুটির পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের আদালত রুল দিয়েছে বলে জানান রিটকারি আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।
এছাড়া হাইকোর্ট সারাদেশে অনুমোদিত ও অবৈধ হাসপাতালের তালিকা আগামী এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
সন্তানকে খুন করা হয়েছে দাবি আয়ানের বাবা শামীম আহমেদের। তিনি জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করছেন।
এদিকে একই ঘটনায় রোববার বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নিহত শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটি পরিদর্শন করে কর্মকর্তারা। কোন ধরনের লাইসেন্স ছাড়াই হাসপাতাণটি চলছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডার সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনার জন্য শিশু আয়ানকে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। কিন্তু খৎনা করার দু’ঘণ্টা পরও জ্ঞান না ফিরলে, তাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সাতদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর, মারা যায় পাঁচ বছর নয় মাস বয়সী শিশু আয়ান।
Leave a Reply