“যখন একজন মানুষ দীর্ঘকাল ধরে বন্য এলাকায় চড়ে বেড়ায়, তখন তার মধ্যে একটা শহরের যাওয়ার ইচ্ছে সৃষ্টি হয়, এবং সে শেষপর্যন্ত ইসিডোরা নামক শহরে পৌঁছে।
ইসিডোরা হলো এমন একটা শহর, যেখানে ইমারতগুলো নির্মাণ করা হয়েছে প্যাঁচানো সিঁড়ি দিয়ে, যে সিঁড়িগুলোর উপরিভাগ আবৃত করা হয়েছে প্যাঁচানো সামুদ্রিক ঝিনুক দিয়ে; যেখানে নিখুঁত দূরবীন ও ভায়োলিন তৈরি করা হয়; যেখানে একজন বিদেশি মানুষ দুইজন নারীকে নিয়ে ইতস্ততভাব কাটিয়ে ওঠার আগেই তৃতীয় জনের সাক্ষাৎ পায়; যেখানে মোরগ-যুদ্ধ শেষপর্যন্ত জুয়ারিদের মধ্যে রক্তাক্ত যুদ্ধের রূপ নেয়।
কথাগুলো ভাবার সময়ে সে একটা শহরকে কামনা করছিল। সুতরাং ইসিডোরা হলো তার স্বপ্নের শহর – কেবল একটা পার্থক্য ছাড়া। সেটা হলো তার স্বপ্নের শহরে সে ছিল একজন যুবক মানুষ, কিন্তু ইসিডোরা শহরে সে এসে পৌঁছেছে তার বৃদ্ধ বয়সে। সে দেখতে পেল বিশাল একটা চতুর্ভুজাকৃতি মাঠের ভেতরের একটা দেয়ালের ওপরে অনেকগুলো বৃদ্ধ মানুষ বসে আছে এবং পাশদিয়ে অতিক্রম করে চলে যাওয়া যুবকদেরকে দেখছে। সে নিজেও তাদের সাথে এক সারিতে বসে আছে।
এবং তার ইচ্ছেগুলো ইতিমধ্যেই স্মৃতি হয়ে গেছে।’’
Leave a Reply