তানজিলা নিঝুম : দেশে পেঁয়াজের কোন ঘাটতি নেই। চাহিদার চেয়ে বর্তমানে মজুদ পেঁয়াজ অনেক বেশি। আমদানি প্রক্রিয়ায় আছে আরও ৫২ হাজার মেিিট্রক টন।চাহিদা কম থাকায় অনেক গুদামে পেঁয়াজে পচন ধরেছে। দেশিজাতের নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজও এরইমধ্যে বাজারে উঠেছে। তারপরও পেঁয়াজের বাজার অস্থির, প্রতি কেজির দাম দুইশ’ টাকা ছাড়িয়েছে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৭ থেকে ২৮ লাখ মেট্রিক টন। আর প্রতি বছর৩৪ থেকে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন পেয়াজ উৎপাদন হয়। এর ৩০ শতাংশ নস্ট হয়। ঘাটতি মেটাতে আমদানি করতে হয় বছরে মাত্র ৬ থেকে ৭ লাখ মেট্রিকটন। চলতি বছর এই পরিমাণ পেঁয়াজ ইতিমধ্যে আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষি মন্ত্রনালয়ের এ তথ্যমতে, বর্তমানে পেঁয়াজের মজুদ সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টনের বেশি, কোন ঘাটতি নেই।
পেঁয়াজের মজুদ বেশি হওয়ায় এলসি খুলেও অনেক ব্যবসায়ী আমদানি করছেন না। ফলে গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়। এই সুযোগে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী মজুদ করে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমিয়ে দেয়, তৈরি করে কৃত্রিম সংকট।
খুচরা বাজারে তিনদিন আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতিকেজি১০০ টাকা, যা এখন ২৫০ টাকায় উঠেছে।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে দেশের বিভিন্ন আড়তে পেঁয়াজের অতিরিক্ত মজুদ পায়। তাতেই একদিনে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দাম কমে আসে।
এছাড়া টিসিবি বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে, এই খবরে দাম আরও কমে।ভারতের পেঁয়াজবিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিমজানান, এলসির ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ শিগগিরই দেশে আসবে।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারেও পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত। আমদানিকারক ও আড়ত মালিকরা জানান, কয়েক দফা হাতবদল আর কারসাজিতে বাজার অস্থির হয়েছে।
Leave a Reply