বরিশাল সংবাদদাতা: আবাসন ও শিক্ষক সংকট এবং সেশনজটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার একযুগ পেরিয়ে গেলেও একটি মাত্র ভবন দিয়েই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। প্রতিটি বিভাগের জন্য মাত্র একটি করে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ রয়েছে। তাই সকল বিষয়ের ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। তিন থেকে চারজন শিক্ষক দিয়ে চলছে এক একটি বিভাগ। এর ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি হচ্ছে সেশনজটের ভোগান্তি।
১৯৭৩ সালে বরিশালে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর পেরিয়ে যায় অনেক বছর। শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে বরিশাল সদর উপজেলায় ৫০ একর জমির উপর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের বছরই বরিশাল জিলা স্কুলের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে নিজস্ব ক্যাম্পাসে ২৫টি বিভাগে চলছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
এক যুগের পথ পরিক্রমায় উচ্চশিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে বাড়েনি শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সুযোগসুবিধা থাকা দরকার, তা এখানে নেই। এর ফলে পিছিয়ে পড়ছেন তারা।
তবে শিক্ষক সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মো: খুরশিদ আলম।
আছে ভবন সংকটও। একটি মাত্র ভবনে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। নতুন কোন উন্নয়ন প্রকল্প না নেয়া না হলে এ সমস্যান সমাধান হবে না বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এদিকে, ছাত্র রাজনীতিতে শৃংঙ্খলা না থাকায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটছে সংঘাত ও সংঘর্ষ। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।
ছাত্র রাজনীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান উপাচার্য মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূইয়া।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার অনুরোধ জানালেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
Leave a Reply