জাতীয় নির্বাচনের আগে পুঁজিবাজারের চিত্রে তেমন কোন পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। দীর্ঘ সময় ধরেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইতে লেনদেন ছয়শো কোটি টাকার নিচে। এই চিত্র আপাতত বদলাবে না জানিয়ে অর্থনীতিবিদরা পরামর্শ দিলেন, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান দেখে এবং বুঝেশুনে বিনিয়োগ করার। লোভে পড়ে যে কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শও দেন তারা।
দীর্ঘদিন ধরেই দেশের পুঁজিবাজারের জন্য তেমন কোন গতি নেই। গত সপ্তাহেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে লেনদেন ছিল পাঁচশো কোটি টাকার মধ্যে। শেষ কার্যদিবসে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৭১ পয়েন্টে অবস্থান করে। মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। শেষ কার্যদিবসে ৪৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা কমে লেনদেন হয়েছে ৪৬৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
অর্থনীতিবিদের মতে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নীতিনির্ধারকরা কার্যকর তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি। যা বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে। তবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সচেতন হওয়াও জরুরি বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
অল্প সময়ে দাম বেড়ে যাওয়া কোম্পানিগুলোতে লোভে পড়ে বিনিয়োগ না করার পরামর্শও দেন তিনি।
শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৩১১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৬টি কোম্পানির, কমেছে ৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
Leave a Reply