দৈনিক শিক্ষা নিউজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :সভাপতি বলেছেন তাই মিটমাট করে নিয়েছি। আপনাদের লেখা সংবাদ ঠিকই আছে তবে আমাদের নিজেদের মধ্যে তো, তাই সেরে নিলাম আর কী।
নকলবাজ দুই ছাত্রের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করায় শনিবার রাত ১১টার দিকে সামিউল ইসলামকে মারধর করেন পৌর মেয়র। রোববার সাংবাদিকদের কাছে প্রধান শিক্ষক এ অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে গনমাধ্যমে সোমবার ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রধান শিক্ষককে পেটানোর সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশের পর ‘সমঝোতার নাটক’ সাজান পৌর মেয়র মোখলেসুর ও প্রধান শিক্ষক সামিউল। এদিন রাত ১০টার দিকে মেয়রের সহযোগী আব্দুল জলিল মাসুদ তার ফেসবুক আইডিতে মেয়র ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর সংবলিত একটি প্রতিবাদলিপি পোস্ট করেন।
সেখানে বলা হয়েছে- একটি বিছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের সম্পর্কে বিভিন্ন পত্রিকায় ১৭ অক্টোবর যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অতিরঞ্জিত। একটি মহল শিক্ষক সমাজের সঙ্গে মেয়রের দূরত্ব সৃষ্টি ও সম্মানহানির উদ্দেশ্যে যে ‘অপপ্রচার’ চালিয়েছে তাতে আমরা উভয়েই বিব্রতবোধ করছি এবং যৌথভাবে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে প্রধান শিক্ষকের একটি অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্লিপটিতে প্রধান শিক্ষক নিজে তাকে মারধরের ঘটনা বর্ণনা করছেন। বিষয়টি নিয়ে ওই ফেসবুকের ওই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা বলেন, এ ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ বানানোর পাশাপাশি ভয়ের একটা সংস্কৃতি তৈরি করা হলো। সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাবে কিন্তু বিচার চাওয়া যাবে না এবং শেষে সমঝোতা করতে বাধ্য করা হবে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, নিজেদের মধ্যে ঘটনা এবং সভাপতি সাহেব বলেছেন তাই মিটমাট করে নিয়েছি। তবে তাকে মারধরের ঘটনা সত্য।
তবে যৌথ প্রতিবাদলিপিতে প্রকাশিত সংবাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অতিরঞ্জিত কেন লিখলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সত্য বলেছি, আপনারা (সাংবাদিকরা) সত্য লিখেছেন। প্রতিবাদলিপিতে এসব লিখতে হয় তাই তারা লিখেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিরি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply