নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর উত্তরায় প্রায় অর্ধশত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক, কর্মী আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে এসব রেস্তোরাঁ–ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা দেখতেই অভিযান চালানো হয়। এলাকার ৫০টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকা, সিঁড়ি আটকে রান্নাঘর বসানো ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় এসব খাবারের দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উত্তরা জনের পুলিশের এক কর্মকর্তা আরো বলেন , স্থাপনা নির্মাণে যেন বিল্ডিং কোড মেনে করা হয় সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। শুধুমাত্র যেখানে সিটি কর্পোরেশন আছে সেখানেই নয়, সার্বজনীনভাবে প্রত্যেক জায়গায়ই এই বিষয়টা মানতে হবে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আলো বাতাস সরবরাহের ব্যবস্থা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা এগুলো রেখেই নির্মাণ করতে হবে।
উত্তরা বিভাগের ডিসির সার্বিক তত্ত্বাবধানে, উত্তরা বিভাগ পুলিশ কর্তৃক অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার, অরক্ষিত দাহ্য পদার্থ রাখা সহ আগুন নির্বাপনের ব্যবস্থা না করে হোটেল অথবা রেস্তোরাঁ ব্যবসার বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এক্ষেত্রে আইন অমান্য কারীদের এবং মানুষের জীবন ঝুকির ভিতরে ফেলে স্বল্প সময়ে ব্যবসায় লাভবান হওয়ার জন্য যেসব ব্যবসায়ী অসৎ পন্থা অবলম্বন করেছেন তাদেরকে কমিশনার সঠিক পথে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
উত্তরা বিভাগের এ পর্যন্ত অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার ও আইন অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনার বিরুদ্ধে হোটেল/রেস্তোরায় অভিযানের সর্বমোট আটক হয় ৩১ জন । আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আটকদের বেশির ভাগই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার। তাদের কাছে রেস্টুরেন্ট পরিচালনার বৈধ সব ডকুমেন্টস চাওয়া হয়েছে। এসব ডকুমেন্টস দেখে যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশেষ কোনো অনিয়ম পাই নাই। সামান্য কিছু এলোমেলো ছিল, মালিকেরা বলছে ঠিক করে ফেলবে। সেই
সঙ্গে এসব হোটেল ও রেস্টুরেন্ট গ্যাস লাইনের কাগজপত্র ও ফায়ার সার্ভিসের কাগজপত্র থানায় নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। পরে আমরা যাচাই বাছাই করে দেখব।’
পুলিশের উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, যেসব রেস্টুরেন্ট যথাযথ নিয়মকানুন না মেনে ও আইন ভঙ্গ করে পরিচালিত হচ্ছে সেসব রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হচ্ছে। আইন অনুযায়ী এসব রেস্টুরেন্ট মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply