এজাজুল হক মুকুল: আয় উপার্জন ও সম্পদের দিক থেকে পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টির নেতারাও। তাদের অনেকেরই সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। নির্বাচনী হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের গত ৫ বছরে সম্পদ বেড়েছে তিনগুণ। তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বেড়েছে দ্বিগুণ। মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর অর্থ বেড়েছে ৩৭ গুণ। দলে না থাকা মসিউর রহমান রাঙ্গার সম্পদ বেড়েছে ১৬ গুণ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেয়া হলফনামার তথ্য অনুযায় জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থীর গত ৫ বছরে সম্পদ বেড়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সম্পদ গত পাঁচ বছরে বেড়ে ৩ গুণ হয়েছে। বাড়িভাড়া থেকে আয় ৩ লাখ টাকা, শেয়ার বা সঞ্চয়পত্র আছে ৩০ লাখ টাকার। তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ১০ লাখ টাকা। আগে ৪০ লাখ টাকা দামের প্রাডো গাড়িতে চড়লেও এখন তিনি চড়েন ৮৫ লাখ টাকার গাড়িতে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিম সদস্য ও জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের এবার নির্বাচন করছেন ঢাকা ১৮ আসনে। তারও সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশি। পাঁচ বছর আগে শেরীফা কাদের ১৫ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি ব্যবহার করলেও এখন ৮০ লাখ টাকার গাড়ি ব্যবহার করেন।
জাপা মহাসচিব কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী মুজিবুল হক চুন্নুর বার্ষিক আয় বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। বেড়েছে সম্পদের পরিমাণও। স্ত্রীর নামেও বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। বার্ষিক আয় ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার বেশি। স্থাবর সম্পদ দেড় কোটি টাকার বেশি। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তার বার্ষিক আয় ছিল সাড়ে ১২ লাখ টাকা। আপস…
ঢাকা-৬ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পাটির কাজী ফিরোজ রশীদ। গত পাঁচ বছরে তার আয় কমলেও সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। ১০ বছর আগে ফিরোজ রশীদের স্বর্ণালংকার ও আসবাবের যে মূল্য ছিল, তাই দেখানো হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে ।
জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কৃত মসিউর রহমান রাঙ্গার গত পাঁচ বছরে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ১৬ গুণ। জমিসহ স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও বেড়েছে। ব্যাংক ঋণ দেখানো হয়েছে পৌনে ২ কোটি টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন, কৃষিখাত, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসা, চাকরিসহ শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র। তিনি এবার রংপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন।
ঢাকা-৪ আসনে জাপার প্রার্থী আবু হোসেন বাবলাও সম্পদে পিছিয়ে নেই। গত ৫ বছরে তারও অর্থ সম্পদবেড়েছে। বার্ষিক বাড়ি ভাড়া দেখানো হয়েছে প্রায় সাড়ে ২১ লাখ টাকা। ১ কোটি ২২ লাখ টাকা টয়োটা লেন্ড ক্রুজারসহ গাড়ি রয়েছে ৪টি। স্ত্রীর নামেও গাড়িসহ রয়েছে সম্পদ। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কয়েক বিঘা অকৃষি জমিসহ ফ্ল্যাট, বড়ি রয়েছে।
ঢাকা-১ আসনের জাপার প্রার্থী সালমা ইসলামের হলফনামায় বিভিন্ন খাতে তার সম্পদ দেখানো হয়েছে ১শ’ ৫ কোটি টাকারও বেশি।
Leave a Reply