নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ থেকে চাকরি নিয়ে বিদেশে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে সে তুলনায় বাড়েনি প্রবাসী আয়। জনশক্তি ব্যুরোর হিসাবে চলতি বছর প্রতিমাসে এক লাখের বেশি নতুন কর্মী বিদেশে গেছে। কিন্তু জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাস প্রবাসী আয় আগের চেয়ে অনেক কম এসেছে। এই খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, অদক্ষ শ্রমিক যাচ্ছে বেশি। আবার অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোর দিক ঝুঁকছেন প্রবাসীরা।
পোশাক খাতের পরেই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স। কিন্তু গত জুন মাস থেকে প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স আসা কমে গেছে। অব্যাহতভাবে রেমিটেন্স কমতে কমতে গেলো সেপ্টেম্বর মাসে ৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় দেশে আসে ১৩৩ কোটি মার্কিন ডলার। তবে অক্টোবর মাসে কিছুটা বেড়েছে।
শ্রমবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু সংখ্যাই বিদেশে কর্মী যাওয়া বাড়ছে। কিন্তু দক্ষ শ্রমিকের অভাব ও অনেকে কাজ না পাওয়ায় আশানুরূপ আয় আসছে না দেশে। সরকার ডলারের দাম বেধে দেয়ায় বৈধ চ্যানেলে অর্থ আসা কমে গেছে।
প্রাবাসী আয় বাড়াতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুারোর তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে ৪ লাখ ৮৬ হাজার কর্মী গেছেন বিদেশে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী এই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৬৮৮ কোটি মার্কিন ডলার।
Leave a Reply